দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল বিল ডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া-ফুলতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে শৈলমারি ১০ ভেন্টের স্লুইস গেটে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি সেচ পাম্প বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৫ জুন) দুপুরে পাম্পের পরীক্ষামূলক পানি অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় অধিবাসিরা উপস্থিত ছিলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত বছর অতিবৃষ্টির প্রভাবে বিল-ডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া ও ফুলতলার প্রায় ২৬টি বিল ও ৪০টি গ্রাম জলাবদ্ধতার শিকার হয়। জলাবদ্ধতার কারণে কয়েক হাজার মৎস্য ঘের জলমগ্ন হয়ে ভেসে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হন মাছ চাষী, কৃষকসহ অন্যান্য পেশাজীবীরা। কয়েক হাজার বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যায়। সেসময় ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো আপদকালিন সেচের ব্যবস্থা করে।
এরকম পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগিদের দাবির মুখে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প বসানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে জার্মানী থেকে ২টি সেচ পাম্প ক্রয় করে গত ২ জুন স্থাপন করা হয়। ৩৫ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিটি পাম্প দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ১ হাজার লিটার পানি অপসারিত হওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পানি অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে যান। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী মো. অশরাফুল আলম।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন জানান, বিল ডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থাপিত ২টি পাম্প দিয়ে পানি অপসারণ কার্যক্রম জেলা প্রশাসক স্যার পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
খুলনা গেজেট/এসএইচ/এমএম